নওগাঁ জেলার দক্ষিণ কোলে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত ও বাংলার আপোষহীন সংগ্রামী মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সংগ্রামী কর্মময় জীবনের পরশে উদ্ভাসিত উপজেলা রাণীনগর।
কথিত আছে "তেরশত পুকুর আর বারশত গাড়ী (ছোট পুকুর) মধ্যে খট্টেশ্বর রাজার বাড়ি"। তেরশত পুকুর আর বারশত গাড়ীর অবস্থান ছিল এই রাণীনগরে।
১১শ/১২শ শতাব্দীর পাল বংশের পরাক্রমশালী জমিদার খট্টেশ্বর রাজা। তার প্রভাবশালিনী রানীর সম্মানার্থেই মৌজার নাম রাণীনগর আর রাজার নামে নামকরণ হয় খট্টেশ্বর পরগনা। খট্টেশ্বর-রাণীনগরে অবস্থান ছিল খট্টেশ্বর রাজার বাড়ি। বর্তমানে তার কোন চিহ্ন মাত্র বিদ্যমান নেই। আছে মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা, বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইটের টুকরো। রাণীনগর নামকরণের অপর একটি প্রবচন আছে যে, নাটোরের রানী ভবানী পিতৃগৃহে গমনের সময়ে বর্তমান রাণীনগর হাটে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এই থেকে জায়গাটির নাম হয় রাণীনগর। যা হোক, ইংরেজ সেটেলমেন্ট রেকর্ডে এই অঞ্চলের পরগণার নাম খট্টেশ্বর ও মৌজার নাম রাণীনগর উল্লেখ করা হয়।এটি ১৮৫৬ সালে থানা হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে । ১৯৮৩ সালে রাণীনগর থানাকে জনাব কাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ, সচিব, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ১ আগস্ট/১৯৮৩ খ্রিঃ তারিখে মান উন্নীত থানা এবং পরবর্তীতে উপজেলা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস